পৃথিবীটা থমকে আছে, চারপাশে শুধু মৃত্যুর মিছিল। কারো কাছেই যেনো লড়বার মতো প্রাণ শক্তিটুকু অবশিষ্ট নেই। সেই রকম একটা সময়ে একজন চিকিৎসক আপা মেসেঞ্জারে নক করে বললেন, এমন কিছু লিখতে যাতে তারা সকল ক্লান্তি নিয়ে সেখানে ডুবতে পারেন। আমি শুরু করলাম লিখা, যে লেখাতে কোভিড অনুপস্থিত থাকবে, চারপাশকে আগের মতো স্বাভাবিক ভাবতে থাকবে পাঠকরা। একটা সাদাসিধা রোমান্টিক উপন্যাস। প্রতিরাত দশটায় এক এক করে পর্ব লিখে পোস্ট করি একটা গ্রুপে আর পাঠক সবাই হুমড়ি খেয়ে পড়েন সেই পর্ব পড়তে। এতেও তাদের সাধ মিটতো না। রিকোয়েস্ট আসতে থাকে একদিনে দুই পর্ব দেওয়া যায় কি না। কিন্তু আমি নিরুপায়, এক পর্ব লিখে শেষ করতেই কষ্ট হত। কিন্তু লিখে অনেক শান্তি পেতাম কারণ কঠিন সেই সময়টায় ক্লান্ত লড়াকু সৈনিকরা নতুন করে প্রানশক্তি পেতেন নিজেকে রিফ্রেশ করতে পারতেন এই উপন্যাসের অংশ পড়ে তা জানার পর নিজের অসুস্থ সময়টাকেও ভুলে যেতে পারতাম। এই পাওয়াটুকু ছিল আমার জন্য অমূল্য পাওয়া। "যে কথা হয়নি বলা" করোনা কালীন সেই দুঃসময়ে আমি সহ অনেকের জন্য মেডিসিন হিসেবে কাজ করেছিল নিরবে। কেন পাঠক এতে ডুবে শান্তি পেতো? কী ছিল অপূর্ব আর খুশির কাহিনিতে? রোমান্টিক প্লটে পরিবার কীভাবে শোভা বাড়ায় তা জানতে পড়তে হবে যে কথা হয়নি বলা উপন্যাসটি।
বই সম্পর্কে আরও জানতে স্ক্যান করুন
QR কোড স্ক্যান করুন
No Review Found