ফ্ল্যাপ: শিশিরভেজা ভোরের কোমল আভায় যখন সূর্যের প্রথম কিরণ মাটির হৃদয়ে মৃদু স্পর্শে রাঙিয়ে দেয় তখনই বেলীর পায়ের নিঃশব্দ পদচারণা শোনা যায় পুষ্পিত উদ্যানের পথে। মায়া আর কামনার অদৃশ্য চিরন্তন আকাঙ্ক্ষা মিশে থাকা মুখটা যেন এক অপরুপ রুপের প্রতীক। চোখে বেদনা ও অতৃপ্ত বাসনার গল্প বলা বিষণ্ণতার মেলা।বেলীর মনে এক অদ্ভুত টান অথবা কামনা যা তাকে বারবার এই নির্জন উদ্যানের দিকে টেনে নিয়ে আসে। এখানে তার আত্মা পিপাসিত, তার হৃদয়ে প্রেমের আগুন জ্বলে।যা এক অদৃশ্য আকর্ষণে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে তাকে। অন্যদিকে অনল যে তার নামের মতোই এক অগ্নিশিখা, এক ভয়ংকর তীব্রতা। দৃঢ় চোয়াল, চোখে অগ্নির ঝিলিক।যেন তার দৃষ্টি থেকে বের হয়ে আসছে কামনার এক ভয়াবহ তরঙ্গ। সে বসে থাকে সমুদ্রের প্রান্তে।হাতে একখণ্ড পাথর কিন্তু তার মন যেন সেই অদৃশ্য কামনার স্রোতে ভাসছে যা তার ললিতার প্রতি তার আকর্ষণের অস্থিরতায় পূর্ণ। অনলের হৃদয়ে চলে এক অবিরাম সংগ্রাম। নিজের কামনা, আশা আর অস্তিত্বের সার্থকতা খুঁজে পাওয়ার দুঃসাহসিক যাত্রা করে চলেছে সে। কিন্তু আজ এই সকাল বেলায় তৈরী হওয়া বেলীর প্রতি তার মনে এক অদম্য ইচ্ছা, এক অগ্নিস্পর্শী কামনা যা তাকে এক অসীম গভীরে টেনে নিয়ে যাচ্ছে ক্ষণে ক্ষণে। এখানে শুরু হয় দুটি বিপরীত মেরুর প্রাণের মধ্যে এক অবিরাম সংগ্রাম।যেখানে প্রকৃতি হয়ে ওঠে কামনার সাক্ষী। বেলীর কোমলতা এবং অনলের কঠোরতার মাঝে যে তীব্র আকর্ষণ এবং কামনার সূচনা তা সময়ের স্রোতে বহুদূর পর্যন্ত প্রবাহিত হতে থাকে। এই গল্পে ভেসে ওঠে প্রেমের অবাধ কামনা, আত্মিক সংযোগ এবং প্রকৃতির অমৃত সৌন্দর্যের মায়াবী প্রতিফলন। এটি সেই প্রেম, যে প্রেমের তীব্রতা ছুঁতে চায় অদৃশ্য সীমা। হয়ে ওঠে এক জীবনের পথপ্রদর্শক যা অনল ও তার ললিতার হৃদয়ে নতুন দিশা এনে দেয়। যেখানে কামনা আর ভালবাসা এক হয়ে ওঠে।
বই সম্পর্কে আরও জানতে স্ক্যান করুন
QR কোড স্ক্যান করুন
No Review Found