নোহা! বড় লোক বাবার একমাত্র সন্তান! সে অন্যদের মতো বাবার ঐশ্বর্যে নিজেকে ভাসিয়ে দেয় না। কষ্ট করে দ্বীন শেখে। জীবনে প্রত্যাশা তার একজন দ্বীনদার মানুষ। নোহার পরিবার তেমন ধর্মকর্ম মানে না। ওদের কাছে টাকার অংকটাই যেন জীবনের সবকিছু। নোহার বিয়ের বয়স হয়েছে। অনেক জায়গা থেকে বিয়ের সম্বন্ধ আসছে, কিন্তু নোহার এসব একদম অপছন্দ, সে যে মনেপ্রাণে চায়—একজন দ্বীনদার পুরুষ! হঠাৎ করেই নোহা অপহরণের শিকার হয়। সে অপহরণকারীদের ধোঁকা দিয়ে কোনো রকম পালিয়ে বাঁচে। কিন্তু অচেনা অজানা শহরে সে একাকী করবেটা কী? বসে কাঁদতে থাকে এক নির্জন প্রান্তে। সাক্ষাৎ পায় সালমানের। সালমান তাকে উদ্ধার করে। আশ্রয় দেয়। আগলে রাখে। নিয়ে যায় মাঝ রাতে ওকে নিরাপদ আশ্রয়ে। সালমানের দ্বীনদারিত্ব নোহাকে মুগ্ধ করে। সে আল্লাহর কাছে মনেপ্রাণে চেয়েছিল সালমানের মতোই একজন মানুষ। সালমান একসময় বুঝতে পারে নোহা তার মায়ের পছন্দ করার মতোই একজন মেয়ে। যাকে সে খুঁজছে বহুকাল ধরে। কিন্তু সালমান নোহাকে আপন করে পাবার স্বপ্ন দেখতে ভয় পায়। তবে সে ভয় হার মানে নোহার দুআর পরশে। ওদের প্রণয় হয়। সাজে স্বপ্নের বাসর, কিন্তু তাদের সে স্বপ্ন বাস্তবতায় বেশিদিন টিকে না। সালমান আক্রান্ত হয় অজানা এক রোগে। চলে যায় নোহাকে এক করে না ফেরার দেশে। শেষ হয়েও শেষ হয় না ওদের ভালোবাসার অতৃপ্ত প্রহর……!
বই সম্পর্কে আরও জানতে স্ক্যান করুন
QR কোড স্ক্যান করুন
No Review Found
25% off